Monday, October 3, 2011

Durga Puja of Mushidabad

মুর্শিদাবাদ

নতুনবাজার সেনবাড়ির দুর্গাপুজো - দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়

অবিভক্ত বাংলার সাবজজ্ রাধাকৃষ্ণ সেন বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম এফ.এ। তাঁর বাল্যবিধবা কন্যা বিন্দুবাসিনী মাতৃ আরাধনার আর্জি করলেন। কন্যার আবদার মেনে নিলেন তিনি। ১১৫ বছর আগে সেনবাড়ির এই মন্দিরে দেবী চণ্ডীর বদলে পূজিত হতেন দেবী জগদ্ধাত্রী। রাধাকৃষ্ণ সেনের বর্তমান প্রজন্ম সুবীর সেন বলেন, “সেই থেকে সেনবাড়ির জগদ্ধাত্রী রূপান্তরিত হলেন দেবীদুর্গায়। আসলে যিনি জগদ্ধাত্রী তিনিই তো দেবীদুর্গা।”







পুজোর শুরু

নতুনবাজার এলাকার ৩ নম্বর গিরিজা চক্রবর্তী লেনের সেনবাড়ির দেবীদুর্গার আরাধনা শুরু হয় ১৮৯৬ সালে।

পুজোর বৈশিষ্ট্য

সেনবাড়ির দেবীদুর্গা কিন্তু তাঁর চতুর্থ হাত দিয়ে অসুর বধ করেন।

বাড়ির মন্দিরের বেদীতেই রথের দিন কাঠামো পুজো হয়। ভাদ্র মাসে ঠাকুর তৈরির কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকে। অসুর হয় সবুজ রঙের। আসলে মহিষাসুরের বদলে প্রতীকস্বরূপ দেবীর পায়ের কাছে মহিষের ছোট্ট একটি মাথা থাকে। একচালার সাবেকি প্রতিমার পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। তবে ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে গঙ্গায় ঘট ভরতে যাওয়ার সময় বাড়ির কোনও সধবাকে কাঁখে ঘটি নিয়ে বাড়ির মূল দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পুরোহিত ওই মহিলার সামনে দিয়ে ঘট ভরতে যান গঙ্গায়। সাত রকমের গোটা ফল, বেলপাতা ও শোলার কদমফুল দিয়ে তৈরি করা হয় পুজোর ‘রচনা’। সন্ধিপুজোর শুরু ও শেষের সময় গুলি ছোঁড়ার রেওয়াজ ছিল। বরাবরের এই রেওয়াজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রায় কুড়ি বছর আগে।

ভোগ বিশেষত্ব

ভোগেরও বিশেষত্ব রয়েছে সেনবাড়ির পুজোয়। ভোগের মেনুতে ৫৫টি লুচির সঙ্গে থাকবে পাঁচ রকমের তরকারি, শাক, আলু ও পটল ভাজা। নবমীর ভোগে কাঁচকলা ভাজা, কাঁচকলার টক ও বাড়িতে তৈরি নারকেল নাড়ু ‘মাস্ট’। এ ছাড়া প্রতিদিন ছানা, দই ও মিছরি তো থাকেই। দেওয়া হয় আতপ চালের নৈবেদ্য । তবে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজোয় আতপ চালের ১৭টি নৈবেদ্য দেওয়া হলেও সন্ধিপুজোয় আতপ চালের ১৯টি নৈবেদ্যের প্রয়োজন।

No comments:

Post a Comment